Friday, April 3, 2015

Pilgrimage to Mecca and Medina




হজ্জ্বের বর্ণনা
হজ্ব আরবী শব্দ। এর অর্থ হল ইচ্ছা করা। তবে শরীয়তের পরিভাষায় হজ্জ বলা হয়ঃ
هو القصد الى زيارة بيت الحرام على وجه التعظيم بافعال مخصوصة فى زمان مخصوص-
উচ্চারণঃ-
হুয়াল কাছদু ইলা জিয়ারাতি বাইতিল হারাম, আলাও ওয়াজহিত্তাজীম বি আফআলি মাখছুছাতিন ফী জামানিন মাখছুছাছিন
অর্থঃ-
সম্মানের সাথে বিশেষ পদ্ধতিতে বিশেষ সমযে পবিত্র কাবাঘর যিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকে হজ্জ বলা হয়। যেহেতু হজ্জের কাজটা কাবা পৃথক গৃহকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে। তাই কাবা গৃহের ইতিহাস আমাদের জানা দরকার।

কাবাগৃহের ইতিহাস
পৃথিবীর বুকে সর্বপ্রথম যে ঘর স্থাপিত হয় সেটাই কাবা গৃহ। কাবা গৃহই সর্বপ্রথম উপাসনালয়। এর পূর্বে কোন উপাসনালয় নির্মিত হয়নি। আর বানানো হয়নি কোন বাসগৃহ। এ কারণেই হযরত আব্দুল্লাহ্‌ বিন উমর (রাঃ) মুজাহিদ, কাতাদাহ্‌ প্রমুখ মনীষীগণ বলেন যে, কাবা শরীফ বিশ্বের সর্বপ্রথম গৃহ।
বায়হাক্বীতে রয়েছে নবী করীম (সাঃ) বলেন, হযরত আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ)-এর পৃথিবীতে

হজ্জ কখন ফরজ হল
হজ্জ কখন ফরজ করা হয় এনিয়ে উলামায়ে কেরামের মত বিরোধ রয়েছে। কেউ বলেন যে হিজরতের পূরবেই হজ্জ ফরজ করা হয়েছে। ইমামে হাদীস ওয়াকেদী বলেন যে, হজ্জ পঞ্চম হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে। ইবনে রাফআহ্‌ ও রাফেয়ীর মতে হজ্জ য়ষ্ট হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন যে, সপ্তম হিজরীতে হজ্জ ফরজ করা হয়েছে। ইমামুল হারামাইন (রঃ) বলেছেন যে, হজ্জ নবম হিজরীতে ফরজ করা হয়েছে। আর এ মতামতটি অধিক গ্রহণযোগ্য, কেননা হজ্জ সম্পকীর্য় আয়াত-
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا-
উচ্চারণঃ-
ওয়া লিল্লাহি আলান্নাছি হিজ্জুল বাইতি মানিস তাত্বয়ি ইলাইহি ছাবীলা।
অর্থঃ
যে সকল লোক কাবা শরীফে যেতে সক্ষম তাদের উপর বাইতুল্লাহর হজ্জ ফরজ করা হল। এ আয়াতটি নবম হিজরীতে অবতীণ হয়।
হজ্জ ফরজ হওয়ার শর্ত
১. মক্কা শরীফ গমন ও তথা হতে প্রত্যাবর্তনের ও আনুসাঙ্গিক যাবতীয় খরচের ব্যবস্থা থাকা।
২. হজ্জ সফলকালীন সময়ে তার পরিবার পরিজনের প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা থাকা।
৩. গমন ও প্রস্থান পথে কোনরূপ প্রাণ হানীর আশংকা না থাকা।
৪. যাতায়াতে কোনরূপ রাষ্ট্রীয় প্রতিবন্ধকতা না থাকা।
৫. জ্ঞানী, প্রাপ্ত বয়স্ক, স্বাধীন ও সুস্থ হওয়া।
৬. মহিলাদের জন্য এ শর্তগুলোর সাথে স্বামী বা মাহ্‌রাম লোক থাকা।
হজ্জের প্রকারভেদ
হজ্জ তিন প্রকারঃ-
১.



কুরবানী
আল্লাহ পাক তাঁর প্রিয়নবী হযরত ইবরাহীম খলীলুল্লাহ্ (আঃ) কে তাঁর বৃদ্ধ বয়সের একমাত্র ছেলে হযরত ইসমাঈল (আঃ) কে আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য কুরবানী করবার নির্দেশ দিয়ে এক মহা কঠিন অগ্নি পরীক্ষায় নিক্ষিপ্ত করেছিলেন। তিনিও ছেলেকে আল্লাহ্ তা'আলার সন্তুষ্টির জন্য কুরবাণী করে মহা পরীক্ষায় উত্তীর্ণের শীর্ষস্থান অধিকার করেছিলেন এবং আল্লাহ্ তা'আলার অসাধারণ মুহাব্বত এবং আনুগত্যের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

আল্লাহ তা'আলাই সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর অন্তরের কুরবাণীকে কবুল করে ছেলের জীবনের পরিবর্তে পশু কুরবাণীর মাধ্যমে ক্বিয়ামত পর্যন্ত এই সুন্নাত জারি করে দিয়েছেন।